বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রদলের কমিটি গঠনের প্রতিবাদে ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’দের বিক্ষোভ
- আপলোড সময় : ২৯-০৭-২০২৫ ১১:৫১:৩৯ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ২৯-০৭-২০২৫ ১১:৫১:৩৯ অপরাহ্ন

দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি ::
দোয়ারাবাজার উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রদলের কমিটি গঠনের প্রতিবাদে ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’দের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুরে উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের সমুজ আলী উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। তারা দাবি জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে রাজনৈতিক কর্মকান্ড থেকে মুক্ত রাখতে হবে এবং দখলদারিত্বের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে।
বিক্ষোভ মিছিল থেকে শিক্ষার্থীরা শ্লোগান দেন, “শিক্ষাঙ্গন দলীয় রাজনীতির স্থান নয়”, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে রাজনৈতিক আখড়া বানানো যাবে না”, “শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি প্রদর্শনকারীদের বিচার চাই”। বক্তারা বলেন, রাজনৈতিক চর্চা থাকতেই পারে, তবে তা হতে হবে সংঘাতমুক্ত, একাডেমিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ। দলীয় আধিপত্য ও সংঘাত শিক্ষাঙ্গনকে ধ্বংস করে দেয়।
বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, ছাত্রদল নেতা আল আমিন চৌধুরী ও ইস্তিয়াক আজাদ রাফি সাধারণ শিক্ষার্থীদের হুমকি দিয়েছেন। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের বক্তব্য প্রত্যাহার করে জনসমক্ষে ক্ষমা চাইতে হবে। না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এর আগে গত ২৭ জুলাই (রবিবার) সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মুমিত ইসলাম ও সদস্য সচিব তারেক মিয়া স্বাক্ষরিত পত্রে উপজেলার প্রায় প্রতিটি স্কুল, কলেজ ও আলিম মাদ্রাসায় আহ্বায়ক কমিটির তালিকা প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা যায়, প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক প্রতিষ্ঠানেও ছাত্রদলের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তালিকা প্রকাশের পরই উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের বড়খাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ছাত্রদলের কমিটিকে অবৈধ আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে গঠিত দাবি করে বাংলাবাজার ইউনিয়ন ছাত্রদল বিক্ষোভ মিছিল করে। এতে বক্তব্য দেন ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি শিব্বির আহমদ, সাংগঠনিক স¤পাদক আহমেদ রামিম সানিসহ অন্য নেতারা।
বিতর্কের মধ্যে নবগঠিত কমিটির সভাপতি মাসুম রেজা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তিনি লেখেন- “আমার পরিবার রাজনীতিতে নিষেধ করেছে, পারিবারিক সমস্যার কারণে আমি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছি”।
একইভাবে দোহালিয়া ইউনিয়নের প্রগতি স্কুল অ্যান্ড কলেজ ছাত্রদলের নবনিযুক্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মোনায়েম ওয়াসিফ মিকদাদ প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, তাকে না জানিয়ে কমিটিতে নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তিনি কখনো রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না, ভবিষ্যতেও থাকার ইচ্ছা নেই।
এদিকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে সমুজ আলী উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ এবং দ্বীনেরটুক দারুল কোরআন আলিম মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের প্যাডে বিবৃতি দিয়ে জানান- তাঁরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে দলীয় রাজনীতি থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত রাখতে চান। কোনোরূপ রাজনৈতিক কমিটি বা সংগঠনের কার্যক্রম প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে পরিচালনা করা যাবে না।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ